‘এম এন লারমা বিপ্লবী আদর্শের সৈনিক এবং নিখাদ দেশপ্রেমিক’- রাঙ্গামাটির আলোচনায় বক্তাগণ

0
695

হিল ভয়েস, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, রাঙ্গামাটি: জুম্ম জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা, মেহনতি মানুষের বন্ধু ও বিপ্লবী নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এম এন লারমা)’র ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা সদরের দেবাশীষনগরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, এম এন লারমা একজন সমগ্র বিশ্বের শ্রমজীবী, মেহনতি মানুষের মুক্তি অনুরাগী বিপ্লবী আদর্শের এক সৈনিক এবং নিখাদ দেশ প্রেমিক। তিনি কেবল পাহাড়ের আদিবাসী জুম্মদের অধিকারের কথা বলেননি। দেশের সকল শ্রমিক-কৃষক তথা খেটে খাওয়া মানুষের অধিকারের কথা ভয়-ডরহীন কণ্ঠে সংসদে ও তার বাইরে তুলে ধরতে তিনি সোচ্চার ছিলেন।

আজ সকাল ১০:০০ টায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল শাখা, এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ও এম এন লারমা স্মৃতি গণপাঠাগারের যৌথ উদে্যীাগে রাঙ্গামাটির দেবাশীষনগরস্থ এম এন লারমা স্মৃতি গণপাঠাগারের প্রাঙ্গণে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা। এম এন লারমা স্মৃতি গণপাঠাগারের সভাপতি সাগর ত্রিপুরা নান্টুর সঞ্চালনায় আলোচনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক মধু মঙ্গল চাকমা, সম্বোধি ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইন্দু লাল চাকমা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলার যুগ্ম সম্পাদক পঞ্চানন ভট্টাচার্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি রাঙ্গামাটির জেলা কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতা চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা, সাংস্কৃতিক কর্মী ইন্দ্র দত্ত তালুকদার প্রমুখ।

সভায় বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন কঠিন পরিস্থিতি বিরাজমান। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এম এন লারমার নীতি-আর্দশের প্রতি অবিচল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র যুব সমাজকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে সমাধানের জন্য ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ বছর হতে চললেও চুক্তি এখনো বাস্তবায়িত হচ্ছে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই।

বক্তারা অতিদ্রুত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।