হিল ভয়েস, ৯ জুন ২০২৫, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত শনিবার (৭ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭:৩০ টায় আনরিপ্রেটেড ন্যাশন এন্ড পিপলস অর্গানাইজেশন (ইউএনপিও)-এর ২০তম সাধারণ অধিবেশন অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ সংগঠনের সদস্য প্রতিনিধি এবং সেক্রেটারিয়েটের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
ইউএনপি’র সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রামের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে এতে অংগ্রহণ করেন প্রীতিবিন্দু চাকমা, অগাস্টিনা চাকমা ও ত্রিজিনাদ চাকমা। ইউএনপিও প্রেসিডেন্ট রুবিনা গ্রীনউড এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
রুবিনা গ্রীনউড তাঁর সূচনা বক্তব্যে সেক্রেটারি জেনারেল মার্সে মোঞ্জে ক্যানো ও সেক্রেটারিয়েটকে তাদের নিরলস কাজের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এরপর তিনি ইউএনপিও’র সংক্ষিপ্ত প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং সমকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সংগঠনের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব উপস্থাপন করেন। তিনি সংগঠনের কিছু কার্যক্রম ব্যাখ্যা করেন ও কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করেন।
বিগত সভার কার্যবিবরণী ও ২০তম অধিবেশনের এজেন্ডা তিনি সবার সম্মতি নিয়ে চূড়ান্ত করে নেন। সভাপ্রধান ইউএনিওপ’র পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মার্সে মোঞ্জে ক্যানো-কে এবং বাজেট ২০২৫ বিষয়ে ট্রেজারার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এলিসেন্ডা পলুজি-কে উপস্থাপন করার জন্য আহ্বান জানান।
মার্সে মোঞ্জে ক্যানো উক্ত বিষয়ে তাঁর উপস্থাপন তুলে ধরেন এবং ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনও তুলে ধরেন।
এরপর এলিসেন্ডা পলুজি ও মার্সে মোঞ্জে ক্যানো বাজেট ২০২৫ ও বিগত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
তাদের উপস্থাপনের পরে অংশগ্রহণকারী কেউ কেউ মূল্যবান মতামত দিয়েছেন। প্রতিবেদনগুলোর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কেউ কেউ বলেছেন যে – সংগঠনের গতিশীলতার জন্য এরকম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
উন্মুক্ত আলোচনায় জনসংহতি সমিতির প্রতিনিধি ত্রিজিনাদ চাকমা উপস্থাপিত প্রতিবেদনগুলোকে সম্মতি ও ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি ইউএনপিও সেক্রেটারিয়েটকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সারা বিশ্বের অধিকারহীন ও প্রতিনিধিত্বহীন জাতি ও জনগোষ্ঠীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন ইউএনপিও সেক্রেটারিয়েট। তিনি প্রাসঙ্গিকভাবে এটাও বলেছেন যে, ২৭ বছর আগে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি এখনো অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়েছে। এজন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি।
তিনি ইউএনপিও ও এর সদস্যদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান, কারণ তারা ক্রমাগতভাবে জুম্মদের ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুকে আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ইউএনপিও’র পরবর্তী কার্যক্রমে বিশেষ করে গবেষণা, মানবাধিকারের ডকুমেন্টেশন প্রমাণ সাপেক্ষে এডভোকেসী ও নানা প্রশিক্ষণে তরুণদের অন্তর্ভূক্তির উদ্যোগকে স্বাগত জানান ও জুম্মদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য সেক্রেটারী জেনারেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এরপর সভাপ্রধান সমাপনী বক্তব্য দিয়ে ২০তম সাধারণ অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণা করেন।