বিখ্যাত চাকমা
আমাকে কেউ নেতা ডাকেনি,
আমি শুধু হাঁটছিলাম সামনে-
হাতে একে-৪৭, বুকে আগুন, চোখে ঘুমহীন স্বপ্ন।
আমি স্বাধীনতা চাইনি পতাকায়,
চেয়েছি মানুষের মতো বাঁচতে আর মায়ের মুখে হাসি।
তোমরা যখন উৎসবে,
আমি ছিলাম পাহাড়ে-
ভেজা মাটিতে ঘুমিয়ে
বন্দুককে বালিশ বানিয়ে রাখতাম।
আমি ভালোবাসতাম-
কিন্তু আমার প্রেমিকা ছিল বিপ্লব,
ওর কপালে চুমু দিয়ে
আমি শপথ করেছিলাম-
“মরে যাব, তবু মাথা নত করব না।”
তোমরা যাকে ‘উগ্র’ বলো,
সে রাতের আঁধারে তোমার ছেলেকে বাঁচিয়ে এনেছিলো।
তোমরা যাকে ‘পাগল’ বলো,
সে নিজের ভাত ফেলে জাতিকে খাওয়াতে চেয়েছিল।
আমি ঘৃণা করেছি মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলাকে,
ঘৃণা করেছি সেই লেখককে,
যে কলমে জাতির রক্ত লুকায়।
আমি বিশ্বাসঘাতকতা চিনি
ওরা পেছন থেকে ছুরি মারে, সামনে কবিতা পড়ে।
আমি জানি, একদিন গুলি থামিয়ে দেবে আমার বুক।
তবু ভয় নেই,
কারণ আমার লাশ একা হলেও,
আমার রক্তে লেখা থাকবে-
“আমি শেষ নই। আমি শুরু।”
কারণ বিপ্লবের মৃত্যু নেই!
আমার নামে মিছিল না হোক,
কবরেও ফুল না থাকুক-
শুধু কেউ একজন দাঁড়িয়ে বলুক,
“এই মানুষটা সমগ্র মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল…
নিজের মাতৃভূমিকে ভালোবেসেছিল…চেয়েছিল মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করতে…
আর সত্যিকারের যোদ্ধা ছিল।”