লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ ভূমি রক্ষা আন্দোলনে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে: ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি

0
295

হিল ভয়েস, ৮ মার্চ ২০২৩, বিশেষ প্রতিবেদক: বান্দরবানের লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ম্রো ও ত্রিপুরাদের ৪০০ একর ভূমি রক্ষার জন্য চলমান আন্দোলনে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে বলে জানান লামা সরই ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি।

গত শনিবার (৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে লামা সরই ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রংধজন ত্রিপুরা অভিযোগ করে বলেছেন, ভূমি বেদখলে মরিয়া লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ ৪০০ একর জমি রক্ষার আন্দোলনে বিভাজন সৃষ্টির হীন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

তিনি জানান, অবিলম্বে এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করে রেংয়েন পাড়া, লাংকম পাড়া ও জয়চন্দ্র পাড়াবাসীদের বংশপরম্পরায় ভোগদখল করে আসা জুমভূমি ও গ্রামীন বন থেকে হাত গুটানোর জন্য লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজকে পরামর্শ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ ২০২৩ সকাল ১১টায় বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে লামার সরই ইউনিয়নের জয়চন্দ্রপাড়ার নয়জন ত্রিপুরা গ্রামবাসী সংবাদ সম্মেলন করে তাঁদের পাঁচ একর করে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী ও প্রশাসন কর্তৃক সভায় লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানির সাথে গ্রামবাসীর বিরোধীয় জমি থেকে তাঁদের জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা দাবি করেছেন।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জয়চন্দ্রপাড়ার কার্বারি (পাড়াপ্রধান) ফদরাম ত্রিপুরা, পাড়াবাসী বৈশুরাম ত্রিপুরা, জয়চন্দ্র ত্রিপুরা, অনারাং ত্রিপুরাসহ নয়জন। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশয়চন্দ্র ত্রিপুরা।

এদিকে লামা সরই ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা ও লাংকমপাড়ার কার্বারি লাংকম ম্রো অভিযোগ করেন, লামা রাবার কোম্পানি তাঁদের ভূমি রক্ষার চলমান আন্দোলনকে ঐক্য নষ্ট করার জন্য কয়েকজন ত্রিপুরাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের জন্য বান্দরবান পাঠিয়েছে। ওই এলাকার ৪০০ একর জুমচাষের জমির মালিক তিনটি ম্রো ও ত্রিপুরাপাড়াবাসী। তাঁরা নিজেরাই জমির মালিক। সুতরাং কারও কাছ থেকে জমি বুঝে নেওয়ার কিছু নেই বলে তিনি বলেন।

অন্যদিকে এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে লামা সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ঢেঁকিছড়া পাড়ায় লামা রাবার কোম্পানির একটি স্টাফ ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট এবং কোম্পানির দুই স্টাফকে পিটিয়ে জখম করা হয় বলে লামা রাবার কোম্পানী বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে বলে অভিযোগ রয়েছে, যা ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ জাতীয় দৈনিক সমকালে প্রকাশিত হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রংধজন ত্রিপুরা জানান, রাবার কোম্পানীর স্টাফ ঘর ভাঙচুরের বিষয়ে তাঁরা কিছু্‌ই জানেন না। এটা রাবার কোম্পানীর সাজানো ঘটনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ভূমি রক্ষায় সোচ্চার জনৈক গ্রামবাসী জানান, বান্দরবানের অনেক সাংবাদিক লামা রাবার কোম্পানীর মদদে টাকার বিনিময়ে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে থাকে।