হিল ভয়েস, ১৮ আগস্ট ২০২৫, চট্টগ্রাম: আজ ১৮ আগস্ট ২০২৫ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক সংগঠন রঁদেভূ শিল্পীগোষ্ঠী’র ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০১৬ সালের আজকের এই দিনটিতে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু করে।
“দ্রোহে বিদ্রোহে একই ব্যাথা সুখে, সঙ্গীত সুমধুর-এক আকাশে অনেক তারা, আমরা রঁদেভূ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাংস্কৃতিক সংগঠন রঁদেভূর যাত্রাপথ আরম্ভ হয়।
সেই সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রগতিশীল আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ১৯৯৬ সালে রঁদেভূ নামে একটি শিক্ষা ও সাহিত্য প্রকাশনা গড়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সম্পাদনায় এই রঁদেভূ’র মাধ্যমেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী কবি, সাহিত্যিক ও প্রগতিশীল ব্যক্তিদের লেখনির মিলনমেলা ঘটে থাকে।
পরবর্তীতে এই সাহিত্য প্রকাশনাটির পাশাপাশি একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ই আগস্ট “রঁদেভূ শিল্পীগোষ্ঠী” স্বতন্ত্রভাবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে “রঁদেভূ” প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন “রঁদেভূ শিল্পীগোষ্ঠী” দুটোই এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে।
বর্তমানে ৯ বছরে পদার্পন করেছে রঁদেভূ শিল্পীগোষ্ঠী। পাহাড় এবং সমতল অঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে আসা বিভিন্ন জাতিসত্তার আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং বিলুপ্তপ্রায় আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীসমূহের ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে রক্ষা করা, চর্চা করা এবং বিস্তৃত করার তাগিদ থেকেই শিক্ষা, সংস্কৃতি, সংহতি ও প্রগতি এই চার মূলনীতিকে ধারণ করে ২০১৬ সালের ১৮ ই আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
রঁদেভূ শিল্পীগোষ্ঠীর নেতৃস্থানীয়রা মনে করেন, প্রগতিশীল আন্দোলন সফল করার জন্য এবং ভিন্ন ভাষাভাষী আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীদের জাতিগত সহাবস্থানের জন্য সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিলুপ্তপ্রায় আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য শুদ্ধভাবে এর নিয়মিত চর্চার কোনো বিকল্প নেই। রঁদেভূ শিল্পীগোষ্ঠী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেই কাজটি নিরলসভাবে করে যাচ্ছে।
তারা আরো মনে করেন, রঁদেভূ শিল্পীগোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের শোষিত-বঞ্চিত জুম্ম জনগণসহ বাংলাদেশের আদিবাসীদের শোষণ-বঞ্চনার কথা সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরে আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
+ There are no comments
Add yours