ফুটবল খেলার কৌশল হোক জাতীয় মুক্তির রণকৌশলের শিক্ষা

0
1330

 মংমে মারমা 

সম্প্রতি হয়ে যাওয়া কোপা আমেরিকা ফুটবল খেলায় কাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দল এবং লিওনেল মেসিকে শুভেচ্ছা জানাই। তবে আমি ফ্রান্স আর ব্রাজিলের ভক্ত যখন থেকে ফুটবল জগতে গোলের সাথে পরিচয় হয়েছি। বাস্তব জীবনের সাথে মানুষকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলবার জন্য ফুটবল খেলার ভূমিকা নেহাতই কম নয়। বর্তমান পুঁজিবাদী যুগে ফুটবল খেলা আমাদের নান্দনিক ও বিনোদনের খোরাক জোগায়। ফুটবল ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে বোঝার অপেক্ষা রাখে না ফুটবলের উৎপত্তি বা গোড়াপত্তন হয় মূলত সামন্ত রাজা কিংবা সাম্রাজ্যবাদীদের বিনোদন হিসেবে। শোষণের তীব্র আকাঙ্খাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করার মানসিক অবস্থাও বলা যেতে পারে।ফুটবল খেলা নিঃসন্দেহে একটি তীব্র লড়াই যা পুঁজিবাদকে অন্যান্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তৈরী হয় ক্ষীপ্রতার সাথে বিজয়ীদের বাঁধ ভাঙা উল্লাস ও জাত্যাভিমান। মূলত ব্রিটিশ ও অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের উপনিবেশবাদ কায়েম করতে এই ফুটবলকে বিনোদন ও কৌশলগত কূটনীতি হিসেবে প্রসার করেছে। ফুটবল ছাড়াও তাদের কাছে সাধারণ নারীরা বিনোদনের সবোর্চ্চ স্থানে ছিল।

বিগত শতকের ৩০ দশকে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুটি দেশ একসময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা হাতেগোনা নয় বরং গণনার সীমা অতিক্রম করেছিল। বর্তমানে পুঁজিবাদী শীতল যুদ্ধে ফুটবল অন্যতম হাতিয়ার এই দুটি দেশে। এটি শুধু ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনায় নয় বরং এর বিস্তার আমাদের উপমহাদেশে এমনকি আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রভাব পড়েছে বৈকী। পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম তরুণ প্রজন্মের কাছে ফুটবলের বিনোদন আজ আসক্তির রুপ নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বড় বড় পোস্ট চোখ এড়ানোর মতো নয়। আমারও ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার অন্ধ ভক্ত হয়ে পড়ি। আমাদের পাশের এক অসহায় প্রতিবেশী না খেয়ে কিংবা আধ পেটে আছে কিনা সে খবর আমার হয়তো রাখি না। জানার আগ্রহটুকুও নেই ফুটবলের প্রতি আসক্তির বদৌলতে। পাশে অসহায় মানুষের খবর অজানা থেকে যায় আর ৫০০০ মাইলের অধিক দুরত্বের মেসি-নেইমারদের ফুটবলের খবর রাখা হয়। যেমন- চায়ের আড্ডায়, খেলার মাঠে কিংবা ফুটপাতে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে।বিশেষ করে লক্ষ্য করা যায় আমাদের আদিবাসী উদীয়মান তরুণ-তরুণী এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে । হ্যাঁ, এটাও ঠিক ফুটবল কিংবা কোনো খেলা বিনোদন ও মনে প্রশান্তির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই বলে কী পাশের প্রতিবেশী কিংবা পরিচয় নিয়ে টিকে থাকার বিষয়গুলো হৃদয়ের গালিচায় স্থান পাবে না?

বিনোদন ও মনের প্রশান্তি থেকে ফুটবলের দ্বিতীয় পক্ষের পরাজয়ের গ্লানি কখনও কী আমাদের মনে স্থান পায়? নাকি বিজয়ে পক্ষে চলে যায়। যেমন- আমাদের সমাজে আওয়ামীলীগ ছেড়ে বিএনপি অথবা বিএনপি ছেড়ে আওয়ামীলীগে প্রবেশ করে যা রাজনৈতিক ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে ঘটে। বিজয়ের উল্লাস কিংবা পরাজয়ে গ্লানি থেকে কী পাশের প্রতিবেশীর সুখ-দুঃখের ভাগিদার হতে পারি না? ফুটবলের উন্মাদনায় নিজেদের ভূমি, নারী কিংবা অস্তিত্ত্বের সংকটের কথা গুলো কি আড়ালে চলে যায়? নাকি শাসকের করাল গ্রাস আর নিজেদের মাতৃভূমিকে সেটেলারদের আগ্রাসনের কাছে মাথা নত করে বিলিয়ে দিই?

ফুটবল খেলায় বিজয়ের উল্লাস কিংবা পরাজয়ের গ্লানি থেকে কি বর্তমান তরুণ-তরুণীদের উপলব্ধি করতে পারে না? আমাদের আদিবাসীদের অর্থনৈতিক অবস্থা শাসকগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার কাছে জিম্মি। জুমিয়া ও বাগানিরা তাদের উৎপাদিত পণ্য ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারছে না। বর্তমানে আম-কাজুবাদামের মৌসুমে আমাদের জুম্মদের উৎপাদিত সেই আম-কাজুবাদাম কিংবা কলার দাম যেভাবে সস্তায় কেনে সেটেলাররা সেটা এক বছরের মাথায় জুমিয়া বাগানীদের পরিশ্রম আর পণ্যের দাম তুলনা করা আকাশ-পাতাল ব্যবধান। শহরের একটি কলার দাম ৫ -১০টাকা দিয়ে আমরা যখন পুষ্টির চাহিদা মেটায় তখন দেখা যায় সে অভাগা জুমিয়া-বাগানীরা ০১ (এক) ছড়া কলা বিক্রয় করতে বাধ্য হয় ২০০-৩০০ টাকার কমে ( থানচির প্রেক্ষাপটে)। সেটেলারদের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যেন সাধারণ জুমিয়া ও বাগানিদের পেটে প্রতিনিয়ত লাথি মারছে। তিন বছর আগে আমাদের থানচির অর্থনীতির অবস্থা তেমন খারাপ অবস্থায় ছিল না এখন বেশ কঠিন অবস্থায় রয়েছে অর্থনৈতিক চাকা। আম কিংবা কাজু বাদামের অবস্থাও একই। আর আমাদের থানচির পর্যটন রীতিমত শাসকগোষ্ঠীর বাহিনীর কব্জায় রয়েছে। তিন বছর পূর্বে কাজুবাদাম মণ প্রতি ৫০০০-৬০০০ টাকা ছিল তবে বর্তমানে ১৫০০ – ২৫০০ টাকার চেয়ে কম। পূর্বে এই অবস্থা লক্ষ্য করা যায়নি আমাদের থানচি উপজেলায় । হয়তো তিন পার্বত্য জেলায় আমাদের আদিবাসী জুম্মোরা এই ধরনের অর্থনৈতিক বৈষম্য স্বীকার প্রতিনিয়ত হয়ে আসছে যেমনটা পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তানিরা করেছিল।

ফুটবলের কিংবদন্তী পেলে-ম্যারাডোনাসহ নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় মেসি-নেইমারের কাছ থেকেও আমরা বিনোদন পাই। সে বিনোদন ও প্রশান্তি থেকে কি উপলব্ধি আসে যে, আমাদের জুম্মোদের জনসংখ্যা দিন দিন সেটেলারদের তুলনায় হ্রাস পাচ্ছে। সেটেলারদের জনসংখ্যা জ্যামিতিক হারে পার্বত্য চট্টগ্রামে কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে? ভুমিপুত্ররা কেন ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে সেটি ভাববার রয়েছে। ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে বোঝা যায়, ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের প্রাক্কালে আমাদের জুম্ম আদিবাসীদের জনসংখ্যা ৯৮.৫% আর ১.৫% ছিল বাঙালি। বর্তমানে এসে আমরা আদিবাসীরা ৪৫% আর সেটেলার বাঙালী ৫৫% তে দাঁড়িয়েছে। তাহলে সংকট কোথায় ? বলা চলে আমাদের ভূমিতে সেটেলার বাঙালিদের এহেন বৃদ্ধি আমাদের আগামী ১০০ বছর পরবর্তীতে খুব চিন্তার বিষয় হয়েছে। পুকুরে বড় মাছ ছোট মাছেদের গিলে খাওয়ার মতো সেটেলারদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে আমাদেরকে সংখ্যায় শূণ্যে পরিণত করতে এবং তা করছি আমরা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছি। যেমন- জুম্ম আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দল যারা করে তারাই পার্বত্য নাগরিক পরিষদের মতো সাম্প্রদায়িক ভূঁইফোড় দলকে সৃষ্টি করে দিয়েছে। যার কারণে শাসকগোষ্ঠীর পলিসিগুলো অনেক সাফল্য লাভ করছে।

বিশাল মাঠে মুক্তভাবে ফুটবল খেলা হয়। সেটা থেকে কীরকম শিক্ষা আমরা উপলদ্ধি করি? পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম আদিবাসীরা মুক্তভাবে চলতে পারে না। কারাগারের মতো পার্বত্য চট্টগ্রাম। যেখানে যায় সেখানে তল্লাশি আর হয়রানি। চারিদিকে নিরাপত্তার নামে সেনা ব্যারিকেড এবং চেকপোস্ট যা দেখে মনে হয় আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ প্যালেস্তাইনের মতো। আসলে কি পার্বত্য চট্টগ্রাম উপনিবেশ বা যুদ্ধ বিধ্বস্ত জায়গা যেখানেই যায় নিরাপত্তার নামে সেনা তল্লাশি ও হয়রানির শিকার হতে হয়। বোধহয় আমরা বাংলাদেশের নয়া উপনিবেশের মধ্যে রয়েছি।

ফুটবলের চির সবুজ মাঠে একটা প্রাণবন্ত পরিবেশ পাওয়া যায়। সেটি মন ও চোখ জুড়ানোর মতো। প্রকৃতির চির সবুজ মাঠে ফুটবলের যোগসূত্র থেকে আমরা কী অনুধাবন করি? পার্বত্য এলাকায় প্রাণ প্রকৃতির উপর কালো থাবার নেপথ্যে কে বা কারা। কারা প্রতিনিয়ত বৃক্ষ, পাথর তথা প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে। এসবের পেছনে কারা জড়িত ? আগেই বলেছি আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা সেটেলারদের অর্থনীতির হাতে বন্দি। অর্থনৈতিক এই করুণ অবস্থার কারণে এক শ্রেণি জুম্মরাও পরিবেশ খেকো তথা গদফাদারদের সাথে হাত মিলাতে দেরি করেনি। এমতাবস্থায় আগামী ৫০ বছর পর পানির জন্য হাহাকার করতে হবে জুম্মদের। এর দায়ভার কারা নেবে? এই গদফাদার কারা তা আমরা কি কখনও জানার চেষ্টা করেছি? পাহাড়ের প্রকৃতি ধ্বংসের লীলায় কারা গদফাদার? আমি মনে করি শাসকগোষ্ঠীর পলিসি বাস্তবায়নকারী কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা। এটি নিঃসন্দেহে বলা যায়। আমাদের জুম্ম আদিবাসীরা অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে পরিস্থিতি স্বীকার হচ্ছে।

ফুটবল মাঠে দুই দলের বিভাজন দেখে কিরুপ ভাবনার খোরাক যোগায়? ব্রিটিশদের শাসন পদ্ধতি ছিল ‘ভাগ কর, শাসন কর’ নীতি। এখনও চলমান রেখেছে শাসকগোষ্ঠী। যা তীব্র আকারে প্রকাশ পেয়েছে। যেমনটা দেখা যায় শাসকগোষ্ঠীর বিভাজন নীতির বেড়াজাল থেকে চাকমা, মারমা , ত্রিপুরাসহ কেউ রেহাই পায়নি। তাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। বিভাজনের রোডম্যাপ তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং বাহিনী। ইতোমধ্যে আমাদের তরুণ সমাজে জাতিগত বিভাজন নীতি প্রকট হয়ে দাঁরিয়েছে। সামাজিক সংগঠন সৃষ্টির দ্বারা সংগঠনগুলোর মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা নিরসন হওয়া জরুরী। এর থেকে উত্তরণ হয়ে ঐক্যবদ্ধ হবার পথ কোথায় ? নিশ্চয় পথ রয়েছে। সকলে হাতে হাত মিলে বিভাজন নীতির বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়াতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে। জুম্মদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই বেগবান করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ফুটবলের দুই দলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যে দল ঐক্যবদ্ধভাবে ৯০ মিনিট সংগ্ৰাম করবে দিন শেষে তারাই বিজয়ের উল্লাসে ভাসবে। পাহাড়ে বিজয়ের উল্লাসে পেতে হলে অবশ্যই শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্য, ভাগ কর শাসন কর নীতি, উপনিবেশিক কায়দায় শাসন, সেনা শাসন, ইসলামীকরণ, ভূমি বেদখল, নারী ধর্ষণ ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। শুধুমাত্র ফুটবল খেলার মতো ৯০ মিনিটের সংগ্রাম বা আবেগের রাজনীতি করলে হবে না, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সংগ্রাম করার দায়িত্ব নিতে হবে। সচেতন ও আদর্শবান সমাজ গঠনে দায়িত্ব নিতে হবে তরুণ-তরুণীদের। অন্যথায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করা না গেলে ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্ষতির মুখে পড়লে সে দায়ভার আমাদেরকে নিতে হবে।

মেসি-নেইমারের মতো সফলতার শিখরে পৌঁছাতে হলে কঠিন সংগ্রাম আর আত্মবিশ্বাস রাখা অতীব জরুরি। টিকে থাকার জন্য লড়ায়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সেটেলার বাঙালিদের জনসংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। আজকে আমরা নিজেরাই নিজেদের ভূমিতে আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। এইসব আতঙ্কের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ে চূড়ায় চূড়ায় জন্ম নিচ্ছে নীতি- আদর্শিক তরুণ-তরুণী। ফুটবলে উদীয়মান খেলোয়াড় তৈরি হয়। আজকে জুম্ম তরুণ-তরুণীদের তাদের আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনার ঊর্ধ্বে উঠে উদীয়মান খেলোয়ার গড়ে ওঠার মতো নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রস্তুত হতে হবে। টিকে থাকার জন্য দৃঢ় মনোবল গড়ে তুলতে হবে। বিদ্রোহী আত্মা, চিন্তা ও জ্ঞানের ক্ষুধা, কৌতূহল এবং প্রাণ প্রাচুর্যে পূর্ণ হয়ে উঠতে হবে। যেমনটা ফুটবলের ড্রিবলিং করার কৌশলের মতো। ফুটবলের মাঠে বলটাকে দখল করাই খেলোয়াড়দের প্রধান উদ্দেশ্য। আমাদের উদ্দেশ্যও একমাত্র অস্তিত্ব রক্ষা হওয়া উচিত। যেকোনো মূল্যে আমাদের অস্তিত্বকে রক্ষা করতে হবে। একবার চলে গেলে আর কখনো ফেরত পাওয়া যাবে না।

অবশেষে বলতে চাই, ফুটবলের মাঠে ৯০ মিনিট সংগ্রাম করার পর একদল বিজয়ের উল্লাসে ভেসে উঠবে। আরেক দলটি পরাজয় মেনে করুণ বেদনা নিয়ে মাঠ ত্যাগ করতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই অবশ্যই দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হবে যেন বিজয়ের উল্লাস করতে পারি। বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে বলতে চাই, প্রকৃতি আর জুম পাহাড়ের মধ্যস্থতায় লড়াকু মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের গরজে এগিয়ে আসার জন্যে। ভুলে গেলে চলবে না “আদর্শবাদী, মর্যাদাবোধ, নৈতিকতা ও সত্যবাদীতার মতো অপরাজেয় অস্ত্র আর নেই”। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এইসব লালনপালন করে অনুপ্রেরণার নেতৃস্থানীয় উৎস হিসেবে জুম্ম জাতির মহান নায়ক এম এন লারমা’র আদর্শের উজ্জীবিত হবে তরুণ তরুণীদের চেতনায়। ফুটবলে বিজয়ী দলের মতো আমরাও একদিন বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠতে পারবো।