তন্টু চাকমা হিমেল
পাহাড়ে রক্তজবা ফুল হয়ে ফুটবে বলে
দাঁড়িয়ে আছি পাহাড় চূড়ায় সবুজ গাছের নীচে।
বর্ষা আসে বর্ষা যায় মাথার উপর দিয়ে,
ভীড়ের ঠেলা দারুণ ব্যস্ত স্বার্থান্বেষী মানুষ।
তবুও সব পেরিয়ে দাঁড়িয়ে আছি পাহাড়ের বুকে,
জুমের দেশে ফের সন্ধ্যা নামে একটা নতুন দিনের আশায়।
সব ক্লান্ত পাখিরাও ডানার ঝাঁপটা মেলে মুক্ত মনে ঘুরবে বলে,
এই পাহাড়ে আবারও ফের সুন্দর বসন্তের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে।
পাহাড়ের বুকে রক্তজবা ফুল হয়ে ফুটবে বলে
তাই ভয় ধরলো রাষ্ট্রযন্ত্রের মননে,
রাইফেল হাতে এগিয়ে আসবো অধিকারের লড়াইয়ে।
রাজপথে অনেকবার দাঁড়িয়ে হারিয়েছি বসতভিটা,
ঘরবাড়ি হারালো কত নিরীহ জুম্ম জনতা।
দেশদ্রোহীর তকমা পেলো কতশত অধিকারকামী,
আজকে অধিকারের আওয়াজ তুললো যারা ঘরছাড়া হলো তারা।
পাহাড়ের বুকে রক্তজবা ফুল ফুটবে বলে,
বারুদের স্ফূলিঙ্গ হাতে নিয়ে ঘুরি পাহাড়ের প্রান্তে,
পাহাড়ে একটা রক্তজবা ফুল ফুটবে বলে
পিলপিলিয়ে মানুষ এলো শহর থেকে গ্রামে লড়াইয়ে,
পাহাড় থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে রাস্তার মোড়ে জড়ো হলো।
দেশপ্রেমীরা দৌঁড়ে অধিকারের আমন্ত্রণে
কাঁধে নিলো রাইফেল, দায়িত্ব নিলো পাহাড় রক্ষার্থে।
পাহাড়ে একটা রক্তজবা ফুল ফুটবে বলে
দাঁড়িয়ে আছি
অনেক কথা আটকে আছে স্বদেশ প্রেমি যুবকের মনে,
নিজের বাস্তুভিটা হারিয়ে গেছে ভুমিখেকোদের দখলে
পাহাড়ে মুখোশ পড়া সুবিধাবাধী শকুনেরা থাবা বাড়ায়
আমার বোনের দেহের দিকে।
বুকের আঁচল উড়িয়ে দিলো নষ্ট হাওয়ায় স্বদেশের দালালেরা।
মিছিল থেকে মিছিল হবে
পাহাড় থেকে রাজপথে ফের জড়ো হবে মানুষ
ধ্বংস হবে মিথ্যে ফানুস,
বিপ্লবীরা এসে পথ দেখাবে মুখ লুকোবে রাষ্ট্রযন্ত্র
বিপ্লবের গান শুনবো বলে দাঁড়িয়ে আছি
রাইফেল হাতে
শত্রুর পঁচাগলা লাশের পাহাড় আগুনের চোখে পোড়াবো বলে দাঁড়িয়ে আছি
রাইফেল হাতে
২৮ দিনের শিশুর কাছে সহিষ্ণুতা শিখব বলে
তারা পাহাড়ের বুকে
তাই তো পাহাড়ে একটা রক্তজবা ফুল ফুটবে বলে
দাঁড়িয়ে আছি রাইফেল হাতে…