হিল ভয়েস, ৯ নভেম্বর ২০২৫, খাগড়াছড়ি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬০-৬৫ জনের একটি দল খাগড়াছড়ি জেলাধীন দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা নারাইছড়িতে টহল অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রায় ১০ দিন ধরে ঐ এলাকার বিভিন্ন জুম্ম গ্রামে ও জঙ্গলে এই অভিযান চালানো হচ্ছে এবং কতদিন পর্যন্ত চলবে তা জানা যায়নি।
গত ৩১ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ১২টার দিকে দীঘিনালা সেনা জোন হতে ওই সেনা সদস্যরা ৯টি গাড়িযোগে মাইনীর ধনপাতা এলাকায় গিয়ে সেখান থেকে সেনা অভিযান শুরু করে। সেখান থেকে একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে সেনা সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। দীঘিনালা সেনা জোনের এক মেজর, একজন লেফটেন্যান্ট, ক্যাপ্টেন আব্দুলাহ আল আমিন, জারুলছড়ি সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মহিদুল ইসলাম এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনীর এই অভিযানের ফলে জনগণের মধ্যে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় জনগণের স্বাভাবিক জীবনধারায় ব্যাপক ব্যাঘাত হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে নানা আশঙ্কা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, সেনাবাহিনী ঐ এলাকায় নতুন করে বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প স্থাপনের পাঁয়তারা করছে। সেনাদলের সদস্যরা ইতোমধ্যে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তির পর প্রত্যহারকৃত সেনা ক্যাম্পের পুরাতন জায়গাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে বলে গ্রামবাসীর সূত্রে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে বাবুছড়ার মাইনী নদীর নিকটবর্তী ধনপাদা বৌদ্ধ বিহারের দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে সেনাবাহিনী একটি নতুন হেলিপ্যাড স্থাপন করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে ধনপাদা বটতলা, গগণ কার্বারি পাড়া, উগুদোছড়ি, ধীরেন পাড়া, চাদারাছড়া ইত্যাদি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে নারাইছড়িতে অবস্থান করে সেখান থেকে মাইনীর উজানে আজাছড়া, উত্তর বাঘাইহাট ও দক্ষিণ বাঘাইহাট, হুগিছড়া ও নাড়াইছড়ি বাজারের পূর্ব দিকে নাড়াইছড়ি নদীর উজানে কয়েকটি এলাকায় নিয়মিত টহল অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
+ There are no comments
Add yours