হিল ভয়েস, ২০ অক্টোবর ২০২৫, বান্দরবান: বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলাধীন লামা সদর ইউনিয়নের তাউ পাড়ার বাসিন্দা মেনরোয়া ম্রো নামে এক ব্যক্তি লামা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক কর্তৃক চিকিৎসা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ও পাড়াবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর ২০২৫ লামা সদর ইউনিয়নের তাউ পাড়ার বাসিন্দা মেনরোয়া ম্রো (৩৪), পিতা-মেননাও ম্রো ও মাতা-সংচুন ম্রো হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। যাতায়াতের দুর্গম পথ হওয়ায় গ্রামবাসীরা কাঁধে করে লামা বাজারের ল্যাবে ম্যালেরিয়া পরীক্ষা করান। সেখানে ম্যালেরিয়া পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল দেওয়া হলেও ফলাফল বিলম্বিত হয়। ল্যাবের স্বাস্থ্য কর্মীরা রোগীর গুরুতর অসুস্থতা বুঝতে পেরে লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার সুপারিশ করেন।
অতপর ল্যাব কর্মীদের পরামর্শে লামা হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার পরিবর্তে একের পর এক কেবিনে স্থানান্তরের নির্দেশ দিতে থাকেন। কিন্তু চারবারেরও বেশি কেবিন পরিবর্তনের পরও কোনো চিকিৎসা পাননি। এই সময় মেনরোয়া ম্রো বারবার জ্ঞান হারান। টানা ৪-৫ ঘন্টা অপেক্ষার পর শেষে চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রাতে রোগীকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান। চিকিৎসা বঞ্চিত মেনরোয়া ম্রোর অবস্থা খুবই মুমূর্ষু বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ভুক্তভোগী রোগীর মেয়ের সাথে ৪ মাস আগে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
চিকিৎসা বঞ্চনার ঘটনায় পাড়াবাসীরা বলেন, চিকিৎসকের কাজ কে কোন জাতির, কোন বর্ণের বিবেচনায় না এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কিন্তু সেইদিন একটা অত্যন্ত দু:খজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা চিকিৎসা বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার।
+ There are no comments
Add yours