হিল ভয়েস, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিশেষ প্রতিবেদক: গতকাল (২২ সেপ্টেম্বর) হিল ভয়েসের জিমেইলে প্রেরিত এক চিঠিতে সম্প্রতি হিল ভয়েসে প্রকাশিত ‘৬ কোটি টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে রবি নেটওয়ার্ক কর্মচারীদের ছেড়ে দিল ইউপিডিএফ’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি ‘রবি’।
রবি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- ‘২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে অনলাইন গণমাধ্যম “হিল ভয়েস”-এ প্রকাশিত “৬ কোটি টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে রবি নেটওয়ার্ক কর্মচারীদের ছেড়ে দিল ইউপিডিএফ” শীর্ষক সংবাদটি আমাদের নজরে এসেছে।
আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই- প্রতিবেদনে উল্লেখিত অপহৃত যে সব ব্যক্তিকে রবি’র সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা রবি বা এর সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষের কর্মী নন, কোম্পানির সাথে তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক বা প্রাতিষ্ঠানিক সংশ্লিষ্টতাও নেই। তাছাড়া প্রতিবেদনে মুক্তিপণ বাবদ অর্থ লেনদেনে রবি’র প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততার অভিযোগও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, রবি অথবা এর সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা পক্ষ এ ধরনের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন।
রবি সর্বদা দেশের আইন ও বিধিবিধান মেনে চলে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করে আসছে। রবি সম্পর্কে এধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর, হিল ভয়েসে প্রকাশিত উক্ত সংবাদে বলা হয়- ‘প্রায় সাড়ে ৭ মাস আগে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ ও চাঁদাবাবদ ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে রবি মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানির ৩ কর্মচারীকে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ (প্রসিতপন্থী) সন্ত্রাসীরা ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে অপহরণকারীদের কর্তৃক নিরাপদে চট্টগ্রাম থেকে মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়টি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
গত পরশু (১৭ সেপ্টেম্বর) নগদ ৩ কোটি টাকা হাতে পাওয়ার পর অপহরণকারীরা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে অপহৃত তিন ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়।..’
এতে বলা হয়- ‘জানা গেছে, ছেড়ে দেওয়ার সময় ইউপিডিএফ প্রতিনিধি নগদ ৩ কোটি গ্রহণ করে এবং বাকী ৩ কোটি টাকা থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেড় কোটি এবং বাকী দেড় কোটি পর্যায়ক্রমে দেওয়ার অঙ্গীকার করে রবি কোম্পানির প্রতিনিধি।’
সংবাদে আরও বলা হয়- ‘..ইউপিডিএফ (প্রসিতপন্থী) সন্ত্রাসীদের কর্তৃক প্রায় সাড়ে ৭ মাস অপহরণ করে রাখার পর নিরাপদে চট্টগ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়টি অনেকের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাদের মতে, এই অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফের যৌথভাবে প্রয়োজিত চাঁদাবাজির নাটক।’
+ There are no comments
Add yours