হিল ভয়েস, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, চট্টগ্রাম: আজ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান হল পরিচালনা ও আসন বরাদ্দ নীতিমালা-২০২২ অনুযায়ী সমতলীয় ও পার্বত্য বৌদ্ধ ছাত্র আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মোট আসনের ৬০ শতাংশ আসন বরাদ্দ পূরণের দাবিতে অতীশ দীপংকর হলের প্রভোস্ট বরাবর বৌদ্ধ ও আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান হয়।
উক্ত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৫ সালের মার্চ এ অন্যান্য হলসমূহের পাশাপাশি অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান হলেও আসন বরাদ্দ দিলে সেই তালিকায় প্রথম ধাপে ২৮৭টি সিট বরাদ্দ দেওয়া হয় এর মধ্যে সমতলীয় ও পার্বত্য বৌদ্ধ ছাত্র শিক্ষার্থী আসন পায় মাত্র ১৬১টি যা মোট সিট বরাদ্দের ৫৬.১৭ শতাংশ। আবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ১২৬টি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয় যা মোট সিট বরাদ্দের ৪৩.৯০ শতাংশ। এতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান হল প্রশাসন সমতলীয় ও পার্বত্য বৌদ্ধ আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নীতিমালা অনুযায়ী ৬০ শতাংশ আসন বরাদ্দ দেয়নি।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, গত ১৯/৮/২০২৫ তারিখের সর্বশেষ আসন বরাদ্দের আপডেট অনুযায়ী বর্তমানে হলে ৩০৪ জন শিক্ষার্থী আসন বরাদ্ধ পায়। তার মধ্যে পাহাড় ও সমতলের বৌদ্ধ শিক্ষার্থী ও আদিবাসী মোট ১৬২ জন যা মোট শিক্ষার্থীর ৫৩.২৯ শতাংশ এবং সাধারণ আসনে ১৪১ জন যা মোট শিক্ষার্থীর ৪৬.৩৮ শতাংশ। অথচ হলে সিটের জন্য আবেদনকারীর তালিকায় অনেক বৌদ্ধ ও আদিবাসী শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও তাদের থেকে আসন বরাদ্ধ দেওয়ার ক্ষেত্রে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আন্তরিক উদ্যোগ দেখা যায়নি।
এই সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিম্ন দাবিসমূহ করা হয়:
১। সমতলীয় বৌদ্ধ ও আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য ৬০ শতাংশ আসন বরাদ্দ চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রনয়নের পূর্বে নিশ্চিত করতে হবে।
২। অপেক্ষমান বৌদ্ধ ও আদিবাসী আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আসন বরাদ্ধ দিতে হবে।
৩। অপেক্ষমান আবেদনকারীর বাইরেও প্রয়োজনে নতুন আবেদন গ্রহণ করে বৌদ্ধ ও আদিবাসীদের বরাদ্দকৃত ৬০ শতাংশ আসন পূরণ করতে হবে।
+ There are no comments
Add yours